সিঙ্গাপুর সফর - ১

Last updated on: July 19, 2015

২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরে যাবার সুযোগটা হঠাৎ করেই আসে। তো ওখানের কি কি দেখলাম, কি কি খেয়াল করলাম, কি শিখলাম, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এখানে কিছু লেখা লিখবো।

মাঝে মধ্যে বাংলাদেশের সাথে তুুলনাটাও চলে আসবে - কি করলে আরো ভালো করা যায়, কি মাথায় রাখা যায় - তা নিয়েই।

প্রথমেই যা চোখে পড়লো, তা রথযাত্রাতে গিয়ে। হৌগাং ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবে, বেশ ঐতিহ্যবাহি ক্লাব যতটুকু শুনলাম, রথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। কৌতুহলি হয়েই সেখানে গেলাম। উদ্দেশ্য দেখা - সেখানে ভারতীয়রা, বাংলাদেশিরা এবং অন্যান্যরা যারা আসবে - তারা কি করে দেখা। কয়দিন আগেই টিএসসিতে ইফতার পার্টিতে দেখলাম দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছেলেপেলেরা মাঠ জুড়ে ময়লা ফেলে রাখে- আর সেখানে সিঙ্গাপুরের শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত অথবা বেশিক্ষিত - যাই হোক না কেন, তারা কি করে সেটা দেখারও ইচ্ছা ছিলো।

বেশ অবাক হয়েই দেখলাম - ওখানে হাজার হাজার মানুষ হলেও মানুষ মোটামুটি সুশৃঙ্খল ভাবেই খাচ্ছে, ময়লা ফেলছে না, বা ফেলার সংখ্যা হাতে গোনা। এমন না যে প্রসাদের আইটেম খুব কম, সেটা দিয়ে নিশ্চিন্তে ছোটখাটো ডিনার সেরে ফেলা যাবে। তাতে ঝাল, মিষ্টি, নোনতা, ভাজি, সবজি, পানির বোতল, দই - সবই আছে। পরিমাণও খুব কম না!

(প্রসাদের ছবি)

(প্রসাদের ছবি)

তা এত খাবারগুলা খাচ্ছে, প্লাস্টিকের থালা, পানির বোতল - সব কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার কথা আমাদের। না ছড়িয়ে রাখাই বরং বাংলাদেশে মোটামুটি অভাবনীয়। কারণটা কি? আরেকটু খেয়াল করতেই দেখলাম, যারা ভলান্টিয়ার - তারা খালি প্রসাদ দিচ্ছে রথযাত্রার তা না, সাথে ময়লার ব্যাগও পুরো মাঠ জুড়ে দিয়ে রাখছে - সেটা ভর্তি হতেই সরিয়ে আরেকটা এনে রাখছে।

ময়লার ব্যাগ

ময়লার ব্যাগ

ব্যাগ সব একসাথে রাখা হচ্ছে

ব্যাগ সব একসাথে রাখা হচ্ছে

ভাবলাম, ভালো তো! ময়লা ফেলার যায়গাই পাই না আমরা - তখন তো আশেপাশে ছড়ানোই আমাদের কর্তব্যের ভিতরে পড়বে। তার চেয়ে বরং এরা ডাস্টবিন তো রেখেছেই, সাথে ময়লা রাখার ব্যাগও এনেছে এতগুলা - যেনো কারো সমস্যা না হয়, যেন পরিবেশ নোংরাও না হয়।

এসব ছোটখাটো কাজ করলেই কিন্তু সেগুলা বেশ বড় প্রভাব রাখে সবার জীবনে। :)

পরবর্তী পর্ব পড়তে ক্লিক করুন এখানে

Written on July 19, 2015